ভোলার চরফ্যাশনে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে নুরুল হক মাঝি নামের এক যুবককে আটক করে গ্রামবাসী। সেই যুবককে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেলসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে সেই গৃহবধূ ৩৫ বছর বয়সী নুরুলকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাজ ইউনিয়নে ধর্ষণের এই অভিযোগ উঠে।
অভিযুক্ত যুবক নুরুল হক মাঝি ওই ইউনিয়নের চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই গৃহবধূর স্বামী খুলনায় কর্মস্থলে থাকায় এক সন্তান নিয়ে একাই বাড়িতে থাকেন। নুরুল হক প্রায় তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন।
মঙ্গলবার ঘটনার রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ শেষে ঘরের দরজা খোলা রেখে তিনি শুয়েছিলেন। এ সময় নুরুল হক তার ঘরে প্রবেশ এসে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গৃহবধূর চিৎকারে ছুটে এসে নুরুলকে হাতেনাতে আটক করে গ্রামবাসী। তাকে গণধোলাই দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীর কাছ থেকে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ (বাঁয়ে) ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল। ছবি: সংগৃহীত
রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি।
মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজাদ বলেন, ‘খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ধর্ষককে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি সঠিক নয়।’
মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেলে মুঠোফোনে একাধিকার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
চরফ্যাশন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীর হাতে আটক হওয়া যুবককে পাওয়া যায়নি।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় গৃহবধূ অভিযুক্ত নুরুল হক মাঝিকে আসামি করে মামলা করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলায় পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’