বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃষ্টি সামান্য, দুর্ভোগ সারা দিনের

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ২১:০৯

জামগড়া এলাকার বাসিন্দা শাকিল শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ হঠাৎ বৃষ্টিতে সড়কটির ইউনিক থেকে জামগড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।’

ঢাকার সাভারে এক দিনের বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কে হাঁটুপানি জমে ভোগান্তি বাড়িয়েছে সাধারণ জনগণের।

বুধবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে বৃষ্টিপাতের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পানি ডিঙিয়ে ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে নাভিশ্বাস উঠেছে সড়কটিতে চলাচলকারীদের। যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয়েছে সড়কটির দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) দায় চাপাচ্ছে বর্তমানে সড়কটির দায়িত্বে থাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটির ইউনিক, জামগড়া ও শিমুলতলা এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি পানি জমেছে জামগড়া এলাকায়। এখানে খানাখন্দ বেশি থাকায় ভোগান্তিও বেশি।

এই দুই কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলাচলে দেখা গেছে ধীরগতি।

জামগড়া এলাকার বাসিন্দা শাকিল শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ হঠাৎ বৃষ্টিতে সড়কটির ইউনিক থেকে জামগড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

‘পুরো সড়কজুড়ে আগে থেকেই খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পানিতে খানাখন্দগুলো দেখতে না পাওয়ায় কখনও যাত্রীসহ রিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ে যাচ্ছে। আহত হচ্ছেন অনেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকায় দিনভর যানজট ছিল। মাত্র দুই কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা।’

সাথী আক্তার নামে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক বলেন, ‘এই রাস্তার অবস্থা অনেক আগে থাইকাই খারাপ। যখন অনেক রোইদ (রোদ) থাকে তহনও বাসাবাড়ি আর ফ্যাক্টরির পানি আইসা সড়কে জইমা থাকে। মাঝেমইদ্দে কোনো রকমে ভাঙা ইটমিট দিয়া কোরকমে (কোনো রকম) রাস্তাটা ঠিক করা হয়।

‘পানি জমলে তো হাইটা যাউনি যায় না। আবার য্যামনে রাস্তা ঠিক করছে তাতে শুকনা রাস্তা দিয়াই রিকশায় যাইতে অনেক কষ্ট হয়। হ্যারপরে আবার এখন জমছে পানি।’

আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক মো. আশরাফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাই, এই রাস্তায় আমাগে ডাইভারগো (চালক) কষ্টের শ্যাষ নাই। হারাডা (পুরা) দিন এই রাস্তায় জাম লাইগা থাকে। আর আইজ বৃষ্টি হওনে জাম (যানজট) আরও বাড়ছে।

‘যাত্রী নিয়া মহাখালী যাওনের জন্য বিকেল ৪টায় বাইপাইল থাইকা রওনা দিছি। এহনও জামগড়া এলাকায় পার হইতে পারি নাই।’

বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. কাজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই রাস্তাটায় পানি উঠে যাওয়ায় অবস্থা খুব খারাপ। ইউনিক, জামগড়া ও শিমুলতলা এলাকায় সড়কে পানি জমে আছে। এ কারণে সড়কে যানজট লেগেই আছে।’

ঢাকা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা সড়কটা দেখি না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যারা দেখে বিপিএ বা সেতু কর্তৃপক্ষ নিয়েছে। বছরখানেক আগে তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।

‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা দেখছে। প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন।’

তবে এ বিষয়ে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর