বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিক পরিচয়ে ‘চাঁদাবাজি’, ৪ জন কারাগারে

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৫৮

প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, “ওরা এসে বলে ‘আপনি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। আপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হবে... যদি বাঁচতে চান তাহলে আমাদেরকে ৫ লাখ টাকা এখন দিতে হবে।’”

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

জেলা মুখ্য বিচারিক ৭ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইনাম হাসান বুধবার বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।

আসামিরা হলেন সাইফুল ইসলাম খান, আইনাল ইসলাম, জোবায়ের হাসান ও তাদের গাড়িচালক মো. ইসহাক। তাদের মধ্যে সাইফুল ও আইনালের কাছ থেকে এশিয়ান টিভি এবং জোবায়ের হাসানের কাছ থেকে আমাদের বার্তা পত্রিকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে বলে জানান গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহাম্মেদ।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক পরিচয়ে খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যান আসামিরা।সেখানে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা কিছু ভিডিও ধারণ করেন। প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা খাতুন সে সময় বিদ্যালয়ে ছিলেন। আসামিরা পাশের ছাত্রী হোস্টেলে গিয়ে কারও অনুমতি ছাড়াই ভিডিও ধারণ করেন। এরপর প্রধান শিক্ষকর বাসায় গিয়ে আসবাবপত্র তছনছ করেন ও তল্লাশির নামে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৭৫ হাজার টাকা নেন।

প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাবেরী রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে গিয়ে ৪ জনকে আটক করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, “ওরা এসে বলে ‘আপনি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। আপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হবে। আপনার বিরুদ্ধে সমস্ত ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে। যদি বাঁচতে চান তাহলে আমাদেরকে ৫ লাখ টাকা এখন দিতে হবে। না হলে রক্ষা নাই। আপনি গফরগাঁও থাকতে পারবেন না।’

“এ অবস্থায় আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বসিয়ে টাকা সংগ্রহের কথা বলে আমি বাইরে বের হই। তারপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও গফরগাঁও থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানাই। পরে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।”

এ বিভাগের আরো খবর