নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হাজীপুর গ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত চার বছরের শিশু তাসকিয়া আক্তার জান্নাত হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে নোয়াখালী র্যাব-১১ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে।
পূর্ব হাজীপুরের এলাকাবাসীর উদ্যোগে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ বিক্ষোভ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘তাসকিয়া হত্যার বিচার চাই’, ‘খুনি রিমনের ফাঁসি চাই’, ‘সব আসামির গ্রেপ্তার চাই’ বলে স্লোগান দেয়।
এ সময় তাসকিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের আটক করায় র্যাবকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি, তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
১৩ এপ্রিল বাবার কোলে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় তাসকিয়া।
যা ঘটেছিল
পুলিশ জানায়, পূর্ব হাজীপুর গ্রামের খোরশেদ আলম দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. বাদশার কাছে তার কৃষি জমির মাটি বিক্রি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ৬ ফুট মাটি কেটে নেয়ার কথা। তবে বাদশা এর চেয়ে বেশি মাটি কাটতে চাইলে খোরশেদের ভাই ফিরোজ আলম বাধা দেন।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা হয়। এতে অংশ নেন তাসকিয়ার বাবা আবু জাহের। তবে প্রথম দফার আলোচনা ভেস্তে যায়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফিরোজের বাড়িতে বৈঠক চলাকালে রিমনের নেতৃত্বে সেখানে ককটেল হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন ফিরোজ থানায় অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে অভিযুক্ত কাউকে না পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ চলে আসে।
এই থানায় যাওয়ার কারণে ১০ তারিখ আবার ফিরোজের বাড়িতে হামলা হয়। তখন ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানায় ফিরোজের মেয়ে শেফালি। এরপর আবারও ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে ব্যর্থ হয়।
অভিযোগ ওঠে, তাসকিয়ার বাবা আবু জাহেরের কারণেই ওই বৈঠকগুলো কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ হয়। তখন সন্ত্রাসীরা জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে তার ওপর হামলা চালায়।