ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিক ও হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে হামলা-ভাংচুরে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ চার দাবি জানিয়েছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে মানববন্ধন থেকে এসব দাবি তোলা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা কলেজেরে হল ও ক্যাম্পাস খোলা রেখে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ করা যাবে না।
শিক্ষার্থীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেয়া এবং দায়িত্বে অবহেলা করায় ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন সম্রাট বলেন, ‘১৮ এপ্রিল মধ্যরাতে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে ঢাকা কলেজে যে হামলা হয়েছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটেছে। একটা গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। এডিসি হারুনের নির্লজ্জ আচরণে শুধু ঢাকা কলেজ নয়, সারা দেশের ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ।’
সম্রাট বলেন, ‘হামলায় ঢাকা কলেজের ১২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব কলেজ প্রশাসন ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে। যে শ্রমিক ভাই নিহত হয়েছে, তার ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’