বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাসকিয়া হত্যা: অস্ত্র কেনার টাকা দেন মহিন

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০৪

র‍্যাব জানায়, রিমন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মহিন উদ্দিন। তিনি অস্ত্র কেনার অর্থ জোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারী। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টার আরও ছয়টি মামলা আছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শিশু তাসকিয়া জান্নাত যে অস্ত্রের গুলিতে প্রাণ হারায় সেটি কেনার জন্য ২১ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মহিন উদ্দিন। আর গুলি করেছিলেন মাঈন উদ্দিন রিমন। হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল ঘটনার কয়েক দিন আগে।

নোয়াখালীর র‌্যাব কার্যালয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ৮ এপ্রিল বা এর এক দিন পর মাঈন উদ্দিন রিমন, মহিন উদ্দিনসহ ছয়-সাতজন তাসকিয়ার বাবা আবু জাহেরকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মহিন একটি অস্ত্র কেনার জন্য রিমনকে ২১ হাজার টাকা দেন।

১৩ এপ্রিল তারা জাহেরের ওপর হামলা চালান। তখন বাবার কোলে থাকা অবস্থায় প্রাণ হারায় তাসকিয়া। ঘটনার পরপরই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তারা ঢাকায় যান। তবে ঈদের আগে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বেশি থাকবে ভেবে তারা অবার নোয়াখালী চলে আসেন। আত্মগোপন করেন চরক্লার্ক ইউনিয়নের একটি বাড়িতে।

তিনি জানান, হত্যার পরিকল্পনা, অস্ত্র ক্রয় ও গুলি করার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিমন স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা ও মারামারির অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে।

২০১৬ সালে রিমন অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন। রিমন বাহিনী গঠন করে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিতে থাকেন।

রিমন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মহিন উদ্দিন। তিনি অস্ত্র কেনার অর্থ জোগানদাতা ও পরিকল্পনকারী। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টার আরও ৬টি মামলা আছে।

গ্রেপ্তার সুজন, নাঈম ও আকবর এলাকায় রিমনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত এবং চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

সুজনের নামে বেগমগঞ্জ থানায় একটি এবং আকবরের নামে হত্যাচেষ্টাসহ তিনটি মামলা রয়েছে।

সুবর্ণচরের চরক্লার্কে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল।

তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় পাইপগান, ৫ রাউন্ড কার্তুজ ও ৬ রাউন্ড বুলেট জব্দ করা হয়। এর আগে তাদের সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের গোলাগুলি হয় বলেও র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শামীম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ২১ হাজার টাকায় যে অস্ত্রটি কেনা হয়েছিল সেটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

অস্ত্রের জোগানদাতাকেও ধরতে তাদের অভিযান চলছে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, পূর্ব হাজিপুর গ্রামের খোরশেদ আলম দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. বাদশার কাছে তার কৃষি জমির মাটি বিক্রি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ৬ ফুট মাটি কেটে নেয়ার কথা। তবে বাদশা এর চেয়ে বেশি মাটি কাটতে চাইলে খোরশেদের ভাই ফিরোজ আলম বাধা দেন।

বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা হয়। এতে অংশ নেন তাসকিয়ার বাবা আবু জাহের। তবে প্রথম দফার আলোচনা ভেস্তে যায়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফিরোজের বাড়িতে বৈঠক চলাকালে রিমনের নেতৃত্বে সেখানে ককটেল হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

পরদিন ফিরোজ থানায় অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে অভিযুক্ত কাউকে না পাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ চলে আসে।

এই থানায় যাওয়ার কারণে ১০ তারিখ আবার ফিরোজের বাড়িতে হামলা হয়। তখন ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানায় ফিরোজের মেয়ে শেফালি। এরপর আবারও ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে ব্যর্থ হয়।

অভিযোগ ওঠে, তাসকিয়ার বাবা আবু জাহেরের কারণেই ওই বৈঠকগুলো ব্যর্থ হয়। তখন সন্ত্রাসীরা জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

এ বিভাগের আরো খবর