ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর নিউ মার্কেটের ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও হকারদের দুর্ব্যবহারের কথা উঠে আসে। সে বিষয়ে দোকানি ও হকারদের সতর্ক করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
বলেছেন, ব্যবসায়ী ও হকারদের বলতে চাই, ক্রেতাদের সঙ্গে এমন কোনো ব্যবহার করবেন না যাতে শিক্ষার্থীদের মতো কেউ ক্ষুব্ধ হয়। আবার শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, ব্যবসায়ীদের সন্তানেরাও স্কুল-কলেজে পড়ে৷ সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। সবাই মিলে বিষয়টি আমরা সমাধান করি।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ। এ কলেজ থেকে যারা পাস করেছেন তারা অনেকেই বাংলাদেশের নেতৃত্বসহ পৃথিবীর অনেক জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। সারা বছর বেচাকেনা হলেও তাদের টার্গেট থাকে ঈদকে কেন্দ্র করে৷’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘রমজানের মাস, সিয়াম সাধনার মাস। এই মাসটি শিক্ষা দেয়া হয় আমরা যেন সমঝোতায় থাকি। সারা বছর ব্যবসায়ীরা করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারেননি৷ অনেকেই এসব মার্কেট থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তারা আবারও নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের সংসার এখন ভালো চলবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে নিয়েই মার্কেট চলবে।’
শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের যে সংঘাত তা একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়। মঙ্গলবার দিনভর উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, ছাত্র-ব্যবসায়ী-সাংবাদিকসহ অনেকেই আহত হন।
পুলিশও আহত হয়েছে বলে জানান ডিবিপ্রধান। তিনি বলেন, ‘যেকোনো রায়ট কন্ট্রোলিংয়ের ক্ষেত্রে পুলিশের কাজ হলো নিবৃত্ত করা। নিবৃত্ত করতে প্রথমে নেগোসিয়েশনে যেতে হয়।’
সোমবার রাতে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্রদের দিকে কেন রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দেন এডিসি হারুন অর রশীদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গুলি শেষ হয়ে গেছে, বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুহূর্তে কী হয়েছিল তা এখনই বলা যাবে না। এখন পরিস্থিতি শান্ত।’