সরকারবিরোধী জোট বাড়িয়ে আন্দোলনে নামার চেষ্টা করতে থাকা বিএনপির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও প্রগতিশীল কোনো দল যোগ দেবে না- এমনটা বিশ্বাস করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে বিএনপি এখন অন্যদের দলে টানার চেষ্টা করছে বলেও মনে করেন তিনি। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আগের দিন সন্ধ্যায় মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের ইফতারে যোগ দেন ১৪ দলের শরিক জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নড়াইলের একটি আসন থেকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন পাওয়ার পর তা পাল্টে দেয়া হয়।
ফখরুলের সঙ্গে আম্বিয়ার উপস্থিতি রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করে কি না, এমন আলোচনা আছে এ কারণে যে, বিএনপি কয়েক মাস ধরেই তাদের জোটের আওতা বাড়িয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার কথা বলছে।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন গভীর সংকটে। তাদের এককভাবে আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই। জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই দলটি অন্য দলগুলোর উপর ভর করে আন্দোলন করতে চায়।
‘তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এদেশের কোনো প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপির এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না।’
ঐক্য বাড়ানোর কথা বললেও বিএনপি এখন বন্ধুহীন হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন কাদের। বলেন, ‘একঘরে হয়ে বিএনপি আসলে এখন হতাশাগ্রস্ত। বিবেকবান, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক কোনো নেতৃত্ব গণতন্ত্রের হন্তারক বিএনপির নেতৃত্বাধীন উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমর্থন করবে না। আর এ বিষয়টি বুঝার সক্ষমতাও তারা হারিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিজ দলের মধ্যেই যাদের ঐক্য নেই, তারা আবার অন্যদের নিয়ে ঐক্য করবে কীভাবে? বিএনপি ও তার সমমানদের মধ্যে ঐক্যের চেয়ে বরং দূরত্বই বেশি দৃশ্যমান।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপির নেতারা এখন দিনের আলোতেই অমাবশ্যার অন্ধকার দেখেন। কারণ, তাদের চেয়ারপারসন দণ্ডপ্রাপ্ত আসাসি, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।’
‘সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রাখে নাই। বরং তিনি নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন।’