বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগকে কেন হটাতে হবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:১৪

এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব এবং ড. কামাল হোসেনসহ তাদের এক গ্রুপ। তাদের সঙ্গে আবার যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এবং আমাদের বাম দল, বাসদ-টাসদ কারা কারা… তারা সবাই নাকি এক হয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাবে। আমার প্রশ্ন, অপরাধটা কী আওয়ামী লীগের?’

বিরোধী জোটের সরকার পতনের আন্দোলনের পেছনের যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অপরাধ কী? দেশের উন্নয়ন করাই কী তবে অপরাধ?’

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভাটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার। এখানে বিএনপি-জামায়াত জোট, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমাদের মান্না সাহেব এবং ড. কামাল হোসেনসহ তাদের এক গ্রুপ। তাদের সঙ্গে আবার যুক্ত কমিউনিস্ট পার্টি এবং আমাদের বাম দল, বাসদ-টাসদ কারা কারা… তারা সবাই নাকি এক হয়ে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাবে। আমার প্রশ্ন, অপরাধটা কী আওয়ামী লীগের?’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হতে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আমার প্রশ্ন এটা কী তাদের ভালো লাগেনি? সে জন্য তারা এই সরকারকে হটাতে চায়?’

জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভূমিহীনদের বিনা মূল্যে জমি এবং ঘর করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘একটা মানুষ যার কোনো জমি নেই, ঘর নেই, কিছু নেই, একটি ঘর পাওয়ার পর তার জীবন-জীবিকার পর সে খুঁজে পাচ্ছে নিজের পায়ে0 দাঁড়াতে পারছে। এটাই কি আওয়ামী লীগের অপরাধ? এ জন্য কি এই সরকার হটাতে হবে?’

সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই যে কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি, এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তৃণমূলের মানুষ, গ্রামের মানুষ উপকার পাচ্ছেন। তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যটা কী? এই মানুষগুলোকে এই সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে দেয়া? এটাই তাদের লক্ষ্য, এটাই তাদের উদ্দেশ্য?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা লুটপাট করে খেয়েছে মানুষ খুন করেছে, তাদের হাতে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে, চোখ হারিয়েছে। তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে জীবন্ত মানুষগুলোকে হত্যা করেছে।’

যারা সরকার উৎখাতে ব্যস্ত, তারা দেশের মানুষের জন্য কী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন সেটাও জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। বলেন, ‘এরা সরকারের উৎখাতে ব্যস্ত। খুব ভালো কথা। তাদের কর্মসূচি জনগণের কাছে তুলে ধরুক। তারা দেশের মানুষের জন্য কী করবে?’

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশের কাছে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ব্যস্ত।’

মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে বেড়েছে ক্রয়ক্ষমতা

মানুষের কল্যাণে সরকারের নেয়া নানা কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছি। বেসরকারি ব্যাংক উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাদের ওপর শর্ত আছে, প্রতিটি উপজেলা পর্যন্ত তাদের শাখা থাকতে হবে।

‘১০ টাকায় কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে তার ভর্তুকির টাকাটা সে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচ্ছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সারের দাম চার দফা কমিয়েছি।

‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা নিয়ে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল। এই একটা সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে।

‘আমরা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। আজকে বাংলাদেশে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি।

‘আমরা দেশের মানুষের জন্য কিন্তু কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ’৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে গড়ে উঠবে, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তারই ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

শত বছর ধরে বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে তার জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘এটা অনুসরণ করে চললে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না।’

‘তারা করেছেটা কী’

সরকারবিরোধীরা দুঃসময়ে মানুষের জন্য কী করেছে, সে প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রায়ই শুনি বক্তৃতায়, আমাদের দেশে কিছু নেতা আছে। দুঃসময়ে মানুষের পাশে কতটা দাঁড়িয়েছে সেটা জানি না। করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করেছে কি না, তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখি নাই। তবে তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত।’

দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার হিসেবে আমাদের লক্ষ্য আমরা অর্জন করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর