নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে নিহত নাহিদ মিয়ার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নাহিদের মৃত্যু হয়েছে।
তবে তিনি ময়নাতদন্তের বিস্তারিত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানাননি।
নিহতের বাবা নাদিম মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলের মরদেহ কামরাঙ্গীরচরের মধ্য রসুলপুর দেওয়ান বাড়ির নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর কামরাঙ্গীরচর বড় মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার তিন ছেলে সে ছিল সবার বড়।’
নিউ মার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন কবির জানান, ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এখন চিকিৎসক জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোথায় আঘাত সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষের সময় পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় নাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হলে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে নাহিদ মিয়া মারা যান।
১৮ বছর বয়সী নাহিদ মিয়া এলিফ্যান্ট রোডে একটি কুরিয়ার কোম্পানির ডেলিভারিম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন।