চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ছাত্রলীগ নেতা মামুন আল রশীদ হত্যা মামলায় ৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আইয়ুব খান।
দণ্ডিতরা হলেন মো. আশিক, মো. আজম, আলী আজগর, মো. ওমর, শাহ নূর, পারভেজ ও আশরাফুল আলম সুমন।
আইনজীবী আয়ুব খান নিউজবাংলাকে বলেন, যে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল, তাদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে আশিক, আজম, আজগর, ওমর ও শাহ নূর সরাসরি হত্যায় জড়িত ছিলেন। আর তাদের সহযোগিতা করেন পারভেজ ও সুমন।
রায়ে আসামিদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
তিনি বলেন, হত্যার সময় আজিজ নামে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় আসামি মো. ওমরকে অতিরিক্ত ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় সুমন ও পারভেজ ছাড়া বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নিহতের ভাই ও মামলার বাদী মো. ইয়াছিন। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আসামি পক্ষের আইনজীবী।
বাদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অবশ্য চেয়েছিলাম সরাসরি যারা খুনে অংশ নিয়েছে, তাদের ফাঁসি হোক। আদালত সব কিছু বিবেচনা করে সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমাদের দুঃখ নেই, কারণ আদালত কাউকে ছাড় দেয়নি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। সবার স্বজনদের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়ির সামনে আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতা মামুনকে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এই ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই মো. ইয়াছিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরের বছর ২০১৯ সালের এপ্রিলে ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করে আদালত।