আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের বাকেরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার আরও দুই ভাই।
উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরায় মঙ্গলবার গভীর রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩১ বছরের রনির বাবার নাম ইয়াসিন মোল্লা। আহত সোহেল তার বড় ভাই ও তৌকির তার ছোট ভাই।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, এলাকায় ক্ষমতার নেতৃত্ব নেয়াকে কেন্দ্র করে ইছাপুরায় মধ্যরাতে স্থানীয় মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন ও রনি মোল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় রনি মোল্লা এবং তার দুই ভাই সোহেল ও তৌকিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। সোহেল ও তৌকির সেখানেই চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব পুরানো। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে গ্রামের চৌরাস্তায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মামুনের বাম হাতের রগ কেটে ফেলে প্রতিপক্ষ। ওই সময় মামুনের দুচোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। ওই হামলার মামলার আসামি করা হয় নিহত রনির আহত দুই ভাইকে।
তাই এলাকাবাসীর ধারণা, ওই ঘটনার জের ধরেই মামুন ও তার লোকজন এ হত্যাকান্ড চালিয়েছে।
তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় ২১ মামলার আসামি মামুন রনিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রনির মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।’
ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’