পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা।
ইন্দুরকানী থানায় সোমবার রাতে মামলা হলেও বিষয়টি পরে জানাজানি হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খাইরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন ফায়জুল বেপারী, ফায়জুলের বাবা বাবুল বেপারী, মা ফাহিমা বেগম ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল হাওলাদার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের ফায়জুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফায়জুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ বিষয়ে তার বাবা-মা তাকে সহযোগিতা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়েটি বিয়ের দাবি তুললেও ফায়জুল এতে রাজি হয়নি।
গত শনিবার শহিদুল এ ঘটনা মীমাংসার কথা বলে দুই পক্ষকে ডাকেন। তবে তিনি ফায়জুলের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মেয়ের পরিবারকে দিয়ে তিন শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন।
টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই শহিদুল।
তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি মীমাংসার জন্য কয়েকবার বৈঠকে বসেছিলাম। তবে মীমাংসা না হওয়ায় আমাকে ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। মীমাংসার জন্য কারো কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয়া হয়নি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, স্কুলছাত্রীর বাবা সোমবার রাতে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।