ভোররাতে বৃষ্টির খবর জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভোর থেকেই ঢাকার আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল কালো মেঘে। সকাল পৌনে ৭টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়ে ঝরে সেই মেঘ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকালে এমন কালবৈশাখি দেখেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। সিলেট বিভাগে বৃষ্টির খবর পাওয়া না গেলেও সেখানে বর্ষণ হতে পারে যেকোনো সময়।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ভোর ৬টার আগে দেশে সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুরে। ৬টার পর ঢাকার হিসাব হাতে এসেছে অধিদপ্তরের। রাজধানীতে প্রায় আধাঘণ্টার মতো ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে কি না, জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, কালবৈশাখি ধারাবাহিকভাবে হয় না। এটা মৌসুমে একাধিকবার হতে পারে। সে মৌসুম এখনও শেষ হয়নি।
ভেঙেছে গাছ
কালবৈশাখিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছের ডাল বা গাছ ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়তে দেখা গেছে।
একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর গুলশান এলাকায়।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু জায়গা এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও রাঙ্গামাটির ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটি প্রশমিত হতে পারে।
এতে উল্লেখ করা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।