রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের হল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ধীরে চলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ মনে করে, আহত শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিবেচনা করে এবং দূর-দূরান্তে অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি হওয়ায় মঙ্গলবারের মধ্যে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তারা আশা করছেন বুধবারের মধ্যে হল ছাড়বেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়গুলো (আজকের মধ্যে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেয়, সে অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে।’
আজকের মধ্যে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক ছাত্রের বাড়ি অনেক দূরে, কারও টাকা-পয়সা নাও থাকতে পারে, আবার কেউ কেউ আহত হয়েছেন। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা গো স্লো যাচ্ছি।’
আগামীকালের মধ্যে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘দেখা যাবে কাল হয়তো আমাদের ছেলেরা সবাই চলে যাবে।’
সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের হল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেনের সই করা অফিস আদেশ বলা হয়, ঢাকা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জানানো যাচ্ছে যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হলো। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেয়া হলো।
অবরুদ্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যখন হল ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা শুনলো, তখন তারা বিক্ষুব্ধ হয়। সবাই এসে আমার রুমের সামনে বিক্ষোভ করে। বিষয়টি এমন না যে আমি অবরুদ্ধ ছিলাম। আমি ক্যাম্পাসেই আছি সারা দিন।’
সোমবার মধ্যরাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে রেশে রাতভর উত্তেজনা ছিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায়।
মঙ্গলবার সকালে আবারও পথে নেমে আসেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রড ও লাঠিসোটা হাতে দলবেঁধে নিউ মার্কেট এলাকায় আসতে থাকেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। শুরু হয় ভাঙচুর। হাতে লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরাও। বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।