বরিশালে চাঁদাবাজি করতে জেলা প্রশাসকের নামও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এক মতবিনিময় সভায় উঠে এসেছে।
ঈদে লঞ্চে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত সভায় এই তথ্য দিয়েছেন খোদ জেলা প্রশাসক।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার নামেও লঞ্চঘাটে মালামাল পরিবহনে চাঁদাবাজি হয়। যা ভুক্তভোগীরা মোবাইলে ধারণ করায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি।’
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে লঞ্চ মালিক ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ফজলুর রহমান, নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর, বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক আরাফাত হোসেন, এনডিসি সুব্রত বি দাসসহ আরও অনেকে।
ডিসি জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, বরিশাল লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের পণ্য পরিবহনে যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় তবে দোষীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে নৌদুর্ঘটনা এড়ানোসহ লঞ্চ ঘাটে যেকোন ধরনের অরাজকতা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত কাজ করবেন। ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের টিকিট কালোবাজারি রুখতেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় ডিসির পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন লঞ্চ মালিকরা।