বগুড়ার ধুনটে পূর্ব শত্রুতার জেরে আরিফুল ইসলাম হিটলুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা ও মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে কবরে পুঁতে রাখার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নবাব আলীসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানায় মঙ্গলবার সকালের দিকে হিটলুর স্ত্রী শেফালী খাতুন মামলা করেন।
নিহত হিটলু উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
হিটলুর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে পেটানো, মাদক ও জুয়া আইনে আটটি মামলা রয়েছে।
অভিযুক্ত নবাব আলী উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বেড়েরবাড়ির বাসিন্দা।
মামলার বরাতে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তারা। পরে হিটলুর হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যান হত্যাকারীরা।
‘পরের দিন বেলা ১২টার দিকে হিটলুর চাচা রক্তের দাগ দেখে আমরুল ইউনিয়নের টাইরপাড়া এলাকার একটি পুরোনো কবর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : পুরোনো কবরে পোঁতা আট মামলার আসামির দেহ
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় হত্যার নির্দেশ দেন নবাব আলী। আর নির্দেশ শুনে প্রথম হামলা করে আব্দুল মালেক। এ ছাড়া বাকি ১৮ জন পুরো হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা নবাব আলী বলেন, ‘এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল হিটলু। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে আসামি করা হয়েছে।’
ওসি কৃপা সিন্ধু আরও বলেন, ‘হিটলু হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।’