মাগুরা শহরের টিটিডিসি পাড়ায় নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামী এ ঘটনায় তার প্রথম পক্ষের ছেলে জড়িত বলে সন্দেহ করছেন। এ ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই সেই ছেলের।
মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধার হয় মরদেহটি।
নিহতের নাম ফাতেমা বেগম, তার স্বামী ওহিদুজ্জামান অনু মাগুরা আদালতের ভেন্ডর। ফাতেমা অনুর দ্বিতীয় স্ত্রী।
অনু নিউজবাংলা বলেন, ‘আমি সকাল ৯টায় কোর্টে যাই। বিকাল ৫টার দিকে আমার ছোটভাই ফোন করে বলে বাড়ি আসতে। আমি গিয়ে দেখি ঘরের চারপাশে লোকজন। ভেতরে দেখি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী অনু শোবার খাটে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে।
‘আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকে একমাত্র মেয়ের কাছে। ওই পক্ষের আর দুটি ছেলে আছে। বড় ছেলে ঢাকায় চাকরি করে, নিজের সংসার নিয়ে থাকে। আর ছোট ছেলে আমার সঙ্গে থাকত। তার নাম ফয়সাল। তার সঙ্গে আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রায়ই ঝগড়া হতো নানা বিষয়ে। শুনেছি ঘটনার সময় আমার ছোটছেলে বাড়িতে ছিল। একটা রক্তমাখা স্যান্ডেলের পায়ের ছাপ দেখেছি।’
সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা গিয়ে দেখি ওই নারী গলাকাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা গেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’