বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভুল ব্যক্তিকে সাজা’, বিচারকের বিরুদ্ধে রিট

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:১৮

‘একজন বিচারক হিসেবে যথাযথ সতর্কতা ও মনোযোগ না দিয়ে এতই খামখেয়ালিভাবে বিচার পরিচালনা করেন যে, আমার মক্কেলকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে রায়ের আদেশ অংশে উল্লেখিত মোবাইল নম্বর দুইটির মালিকানা সম্পর্কে যাচাই/পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। তিনি নিরপরাধ নাগরিককে খেয়ালের বশে অন্যায়ভাবে দণ্ড দিয়েছেন। তিনি বিচারকের আসনে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।’

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুল ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশকে তার বিচারিক পদ থেকে অপসারণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আবেদনে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তুহিনের অপসারণও চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলাবার হাইকোর্টে রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী বদিউজ্জামান তপাদার।

এতে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধান, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ, ডিএমপি কমিশনার, বার কাউন্সিল সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ, অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তুহিন ও আসামিপক্ষের আইনজীবীকে তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে আদেশ চাওয়া হয়েছে।

ঘটনা তুলে ধরে রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘একজন আসামির পরিবর্তে অন্য একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে সেই আসামি সাজিয়ে খিলগাও থানার একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেয়। এ মামলায় সেই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সেই নির্দোষ ব্যক্তিকে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।’আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল রায়ের তারিখে হাজির ছিল না। পরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছয় বছরের সাজা হয়েছে।

“এরপর তিনি আমার কাছে এসে বললেন, ‘আমি এ মামলার আসামি না। এ মামলার প্রকৃত আসামির বাড়ি নারায়ণগঞ্জে আর আমার বাড়ি চাঁদপুর।’ “পরে আমি তাকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেই। তার আত্মসমর্পণের পর তার মূল কাগজপত্র আমার কাছে আসে। পরে তার পক্ষে আপিল ফাইল করি, এবং তাকে জামিন করাই।”

তিনি বলেন, ‘এরপর আমি তার সব কাগজপত্র দেখে তার পক্ষে একটা একটা আইনি নোটিশ দেই। দীর্ঘ দিনেও নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করি।’

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী রোববার রিটটির শুনানি হবে।

২০১৮ সালের ২৭ জুন ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানী খিলগাঁও থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ঢাকা কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে মোসা. ইতি, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জামাল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর বিশ্বাস, পিরোজপুর জেলা জিয়ানগর থানার মৃত হাসানের ছেলে আল আমিন, নারায়ণঞ্জের অজ্ঞাত থানার বাসিন্দা কামাল ও আলামিনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

রিটকারী আইনজীবী জানান, এ মামলায় নারায়ণগঞ্জের আল আমিনের বদলে একই নামের তার মক্কেলের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেন।তবে নাম একই হলে এই আল আমিনের বাবা, ঠিকানা, সবই ভিন্ন। তিনি মগবাজার টিঅ্যান্ডটিতে চাকরি করেন।

আইনজীবী বদিউজ্জামান তপাদার বলেন, ‘একজন বিচারক হিসেবে যথাযথ সতর্কতা ও মনোযোগ না দিয়ে এতই খামখেয়ালিভাবে বিচার পরিচালনা করেন যে, আমার মক্কেলকে দোষী সাব্যস্ত করার আগে রায়ের আদেশ অংশে উল্লেখিত মোবাইল নম্বর দুইটির মালিকানা সম্পর্কে যাচাই/পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। তিনি নিরপরাধ নাগরিককে খেয়ালের বশে অন্যায়ভাবে দণ্ড দিয়েছেন। তিনি বিচারকের আসনে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।’

এ বিভাগের আরো খবর