রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় আবাসিক হোটেলে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ওই নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মিঠুন আলী নামে ওই যুবক।
২৮ বছরের মিঠুনের বাড়ি নাটোর সদরে। নিহত ৪১ বছরের জয়নব বেগমের বাড়িও সেখানে। তাদের মধ্যে ৩ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বলে পুলিশকে জানান মিঠুন।
রাজাপাড়া থানা পুলিশ তাকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে বলে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জানান রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার ড্রিম হ্যাভেন হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে রোববার রাতে পাওয়া যায় ওই নারীর মরদেহ। হোটেলের রেজিস্ট্রিতে তার নাম লেখা ছিল জুলেখা, সঙ্গে স্বামী পরিচয়ে লেখা ছিল মিজান নামটি। তারা রোববার সকালে ওই হোটেলে আসেন। পুলিশ ৪০৩ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে ওই নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র পায়। সেখানে তার নাম জয়নব লেখা।
ওসি আরও জানান, সেই সূত্রে খোঁজ নিলে জানা যায় ওই নারী স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিক। তার অনেক আগেই বিয়েবিচ্ছেদ হয়েছে। ঘরে আছে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। ইটভাটাতেই সহকর্মী মিঠুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। মিঠুন বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। জয়নবের সঙ্গে হোটেলে স্বামী পরিচয়ে তিনিই গিয়েছিলেন।
মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, হোটেলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় তারা দুজন ৪০৩ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন। বেলা ২টা ৪ মিনিটে সেই কক্ষ বাইরে থেকে তালা দিয়ে নিজের মুখ আড়াল করে বেরিয়ে যান মিঠুন। সঙ্গে নিয়ে যান জয়নবের মোবাইল ফোন। রাজপাড়া থানা পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রযুক্তির সহায়তায় মিঠুনকে নাটোর থেকে সোমবার গ্রেপ্তার করে।
এর আগে সোমবার বিকেলে নিহতের ভাই তছলেম প্রামাণিক রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।
পুলিশের কমিশনার আবু কালাম জানান, গ্রেপ্তারের পর মিঠুন বলেছেন যে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় জয়নবকে বালিশচাপা দিয়ে তিনি হত্যা করেছেন।