বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্মসৃজন প্রকল্প: কাজ শেষ, বেতন বাকি

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:০৫

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, ‘এ বছর কর্মসৃজন প্রকল্পের কর্মীদের বেতন বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হবে। প্রত্যেকে ঘরে বসে বেতন পেয়ে যাবে। এ জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করেছি।’

কাজ শেষ হয়েছে দেড় মাস আগে কিন্তু এখনও মেলেনি পারিশ্রমিক। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা কর্মসৃজন প্রকল্পের ৫০৮জন শ্রমিক এমন অভিযোগ করেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে উপজেলায় গত ৮ জানুয়ারি কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সাপ্তাহিক ছুটি বাদে ৪০দিন মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয় গত ২ মার্চ। উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ৩টি করে প্রকল্প নিয়ে মোট ১২টি প্রকল্পে ৫০৮ জন শ্রমিক কাজ করেন।

প্রত্যেক শ্রমিকের দৈনিক ৪০০ টাকা হিসেবে ৪০ দিনে একজন শ্রমিক ১৬ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও কর্মীরা তাদের বেতন না পেয়ে ক্ষুব্ধ।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে রাস্তায় কাজ করি। রোজার মাস চলছে। টাকার অভাবে ঠিকমতো বাজার করতে পারছি না। সামনে ঈদ। সময় মতো টাকা না পেলে ছেলে-মেয়ের ঈদ হবে না।’

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লিয়াকত হোসেন লিপু বলেন, ‘ওয়ার্ডে ওই প্রকল্পে একটি রাস্তার কাজ হয়েছে। কর্মীরা বেতনের খোঁজ নিতে প্রতিদিনই আমার বাড়িতে আসে। তারা খুবই কষ্টে আছে। দ্রুত তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানাই।’

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকদের বিকাশ নম্বর সংক্রান্ত সমস্যা ছিল যা আগেই সংশোধন করে দিয়েছি। ঈদের আগেই তাদের পুরো বেতন পরিশোধ হওয়া দরকার।’

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, ‘এ বছর কর্মসৃজন প্রকল্পের কর্মীদের বেতন বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হবে। প্রত্যেকে ঘরে বসে বেতন পেয়ে যাবেন। এ জন্য অনেক আগেই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করেছি। ৫০৮ জন শ্রমিকের জন্য ৭৯ লাখ ৬ হাজার টাকার একটি বিলও প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি।

‘কিন্তু এর মধ্যে ২২০ জন কর্মীর বিকাশ নম্বর নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে খোলা না থাকায় আমাদের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। এরই মধ্যে সে প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। বাকি ২৮৮ জনের অনেকেই কিছু পরিমাণ টাকা পেয়েছে বলে শুনেছি। ঈদের আগে সবাই পুরো টাকা পাবেন আশা করি।’

এ বিভাগের আরো খবর