কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং-এ শেফালী বিশ্বাস নামে এক হিন্দু নারী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কীভাবে তিনি খুন হলেন তা এখনও জানা যায়নি। রহস্য জানতে কাজ করছে থানা পুলিশ ও সিআইডি।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাউজিং ডি ব্লকে নিজ বাসায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৫৫ বছর বয়সী শেফালী।
নিহতের স্বামী পিডিবির অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দোতলায় থাকি। আমার স্ত্রী শেফালী সেখানেই ছিল। চারতলায় নির্মাণকাজ চলছে। আমি মিস্ত্রিদের সঙ্গে সেখানেই ছিলাম। বাসায় নেমে দেখি আমার স্ত্রী পড়ে আছে। তার শাড়ি ও শরীর পোড়া। আছে আঘাতের চিহ্নও। ঘরে রক্ত ও ছাই পড়ে আছে।’
আনন্দ কুমার বিশ্বাস জানান, স্ত্রীকে তিনি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
আনন্দ কুমার বলেন, ‘আমার মনে হয় ডাকাতি করতে এসে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তার গলা ও চোখের ওপরে জখম আছে।’
শেফালী বিশ্বাস ও যে স্থানটিতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে
এদিকে নিহতের ভাই দীপক বিশ্বাস দাবি করেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আগুনে শরীরের সামান্য অংশ পুড়েছে। এতে একজনের মৃত্যু হতে পারে না। এর মধ্যে কোনো রহস্য আছে। এই রহস্য বের করার জন্য তিনি পুলিশকে অনুরোধ করেন।
ঘটনাস্থলের পাশেই সিআইডির কুষ্টিয়া অফিস। তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।
সিআইডির পরিদর্শক স্বপন কুমার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঝিনাইদহ থেকে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ছাব্বিরুল আলম বলেন, ‘পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।’