বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধে নতুন নতুন ফাটল

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:২৫

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘বাঁধগুলোয় আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই ফাটল দেখা দিচ্ছে, সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উজানের পাহাড়ি ঢলে ধনু নদের পানি যত বাড়ছে, নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের ফসলরক্ষা বাঁধগুলো তত বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে। একেক সময় একেক জায়গায় দেখা দিচ্ছে ফাটল। আর তা সারাতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় কৃষকদের।

সর্বশেষ পরিমাপে দেখা গেছে, ধনু নদের পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেত্রকোণা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলার খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলার পর নগর ইউনিয়নের পাইয়ার বাঁধেও বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। রোববার রাতে বাঁধটির ২০-২৫ জায়গাজুড়ে ফাটল দেখা দেয়। রাত থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও পাউবোর সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকরা বাঁশ, চাটাইয়ের মতো বস্তু দিয়ে বাঁধটি মেরামতের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একই চেষ্টা চলছে কীর্তনখোলা বাঁধেও।

খালিয়াজুরীর পুরানহাটি গ্রামের মহসিন মিয়া জানান, পাইয়ার বাঁধ ভেঙে গেলে খালিয়াজুরী সদর ও নগর ইউনিয়নের পাইয়া, বড় পাইয়া, বড়বন্দ, শিবপুর, চাতল হাওর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। এরপর তলিয়ে যেতে পারে পাশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হাওরগুলোও।

এদিকে নদীর পানি যত বাড়ছে, তত বেশি আতঙ্ক বাড়ছে কৃষকদের। ধান পাকার আগেই কাঁচা ধান কেটে খোরাকি জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তারা, কিন্তু কাঁচা ধান কেটে খুব একটা লাভ হচ্ছে না কারও। কারণ অপুষ্ট ধানের বেশির ভাগই চিটা হয়ে যাচ্ছে।

উদয়পুর গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষক প্রান্তোষ সামন্ত বলেন, ‘ঠিকমতো ধান পাকতে আরও অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন দরকার, কিন্তু সে সময় পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই নিরুপায় হয়ে অনেকে কাঁচা ধান কেটে ফেলছেন। আর এতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়েই যাচ্ছে।’

খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর এ উপজেলার ২০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে।’

তবে কৃষি বিভাগের এ হিসাবটি মনগড়া বলে দাবি করেছেন স্থানীয় কৃষকদের অনেকে। জাহেরপুর গ্রামের কৃষক নাইব উদ্দিন ও বাইদ্যাহাটির আলাল উদ্দিন জানান, ব্রি-২৯ বা হাইব্রিড ধান এখনও সম্পূর্ণ কাঁচা। তাই এসব জমিতে কাঁচি ধরার প্রশ্নই আসে না। শুধু ব্রি-২৮ ধান কাটা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘বাঁধগুলোয় আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই ফাটল দেখা দিচ্ছে, সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর