আস্থার সংকট কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে আস্থার সংকট কাটিয়ে নির্বাচন করতে চাই। এই সংলাপগুলো মোটেই অর্থহীন নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরই অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আপনাদের মতামত নিতে আপনাদের মূল্যবান কথা শুনব।
‘আমরা আপনাদের মতামত নোট করে পর্যালোচনা করব। সংলাপের মতামত নিয়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ করা হবে।’
এদিন বেলা ১১টার কিছু সময় পর সিইসির সভাপতিত্বে ইসির এই চতুর্থ সংলাপ শুরু হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে এটা দ্বিতীয় দফার সংলাপ। সংলাপে ৩৯ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত রয়েছেন ২৪ জন।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণের পর নিজেদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কমিশন সভা না করেই সংলাপে বসে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। গত মাসে দুই দফা সংলাপে বসে ইসি। তবে তৃতীয় দফা সম্পাদকদের সঙ্গে সংলাপের আগেই নিজেদের প্রথম কমিশন সভায় বসেন তারা।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত মাসে ১৩ মার্চ প্রথম দফায় ৩০ শিক্ষাবিদকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাতে ১৭ জনই সাড়া দেননি। দ্বিতীয় দফার সংলাপে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে একজনকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
ওই পর্যায়ে ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে সংলাপে অংশ নেন ১৯ জন। তৃতীয় দফায় সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে ২৩ সম্পাদকসহ ৩৪ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। ২৩ জন সাংবাদিক এ ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। ১১ জন আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।