রাজধানীর ধানমন্ডি ও কামরাঙ্গীরচরে রোববার রাতে ছুরিকাঘাতে কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
ধানমন্ডি
ধানমন্ডি লেকের পাড়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। পুলিশ তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
আহত দুজন হলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. আরিফ হাওলাদার জিসান (১৮) এবং ওয়েস্ট ধানমন্ডি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রাহিন ইসলাম (১৬)।
দুজনের বন্ধু মো. রায়হান বলেন, “আমাদের সবার বাসা ধানমন্ডির মধুবাজার এলাকায়। সন্ধ্যার দিকে আমরা তিন বন্ধু মিলে ধানমন্ডি লেকের পারে ঘুরতে যাই। হঠাৎ পার্কের ভেতর প্রায় ১০ থেকে ১২ জন যুবক আমাদের ঘিরে ফেলে এবং বলে, ‘তোদের ফোন দিয়ে দে।’ কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা জিসানের পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
“এ সময় রাহিন এগিয়ে এলে তার বুকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং চড়-থাপ্পড় মারে। পরে চিৎকার করলে তারা জিসান ও রাহিনের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।”
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাইনুল বলেন, ‘রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর লেকের পারে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছে।
‘খবর পেয়ে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আহত দুজনের অভিযোগ, ছিনতাইকারীরা তাদের ছুরি মেরে মোবাইল নিয়ে গেছে। বিষয়টি ছিনতাই নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এসআই আরও জানান, দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
কামরাঙ্গীরচর
হাফেজ্জী হুজুরের মাদ্রাসার কাছে নদীর পারে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত হয় এক শিশু।
পরিবার ও পুলিশ জানায়, শিশুটি নদীর পারে বসে ছিল। ওই সময় তিন থেকে চার দুর্বৃত্ত এসে বলে, ‘তোর কাছে কি আছে?’ তখন সে শুধু বলে, ‘আমার কাছে কোনো কিছু নাই।’ এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে শিশুটির চিৎকারে তারা পালিয়ে যায়।
পরে মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
আহত শিশুটির মা জানান, তার ছেলে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে এবং সেখানেই থাকে। মাদ্রাসার কাছেই তাদের নিজস্ব বাড়ি। গরমের কারণে মাদ্রাসার সামনে বুড়িগঙ্গা নদীর পারে বসে ছিল সে। তখনই দুর্বৃত্তরা এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে।
তিনি বলেন, ‘ওর তো কোনো শত্রু নাই। ও শিশু বাচ্চা। কেন এ কাজ করল, এটা আমরা বলতে পারছি না।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ধানমন্ডি লেকের পারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে ঢামেকে নিয়ে আসে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে আহত এক মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন শিক্ষক ও স্বজনরা। শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তলপেটে ছুরিকাঘাতের কারণে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানাকে অবগত করা হয়েছে।