নোয়াখালীতে র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের শো-রুম থেকে নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ছয়জনের নামে মামলা করেছেন এক যুবক।
শফিকুল ইসলাম নাজিম নামের ওই যুবক রোববার দুপুরে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী নূর আলম জিকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন র্যাংগস ইলেকট্রনিকসের এমডি জে এম একরাম হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) জানে আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার ওমর ফারুক, সনি-র্যাংগসের পরিবেশক হোসেন ইলেকট্রনিকসের মালিক কাজী মোজাম্মেল হোসেন, সনি-র্যাংগসের নোয়াখালী জোনের ম্যানেজার ফরিদ উদ্দিন ইমাম ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ শামীম হোসেন।
নাজিম বলেন, ‘অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে ২০২১ সালের ৮ মে নোয়াখালীর মাইজদীতে র্যাংগসের পরিবেশক হোসেন ইলেকট্রনিকস থেকে মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর কেএসভি ৩৩ এফএফ মডেলের ফ্রিজ কিনি। ফ্রিজ বাড়ি নিয়ে গিয়ে কোনো মনোগ্রাম পাইনি।
‘কেনার পর থেকেই ফ্রিজে নানা সমস্যা শুরু হয়। শো-রুমে অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একপর্যায়ে আমি মামলার সিদ্ধান্ত নেই।’
আইনজীবী জিকু বলেন, ‘নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মধুরামপুর এলাকার নাজিম আমার কাছে এলে আদালতে মামলা করি। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে হোসেন ইলেকট্রনিকসের মালিক হোসেন বলেন, ‘আমি সনি-র্যাংগসের পরিবেশক। কোম্পানি যেভাবে প্রোডাক্ট দিচ্ছে, আমরা গ্রাহককে সেভাবেই দিচ্ছি। মামলার বিষয়ে কোম্পানি জবাব দেবে। আমি কিছু বলতে পারব না।’
প্রতিষ্ঠানটির নোয়াখালী জোনের ম্যানেজার ফরিদ উদ্দিন ইমাম বলেন, ‘আমরা তো নিজেরা পণ্য বানাই না। আসল-নকল বলতে পারব না। যারা পণ্য বানিয়েছে তারা বলতে পারবে।’
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, আদালত থেকে তাদের কাছে কাগজপত্র এলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।