ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকে বিবস্ত্র অবস্থায় জুতাপেটার ঘটনায় নারীসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। সেটি তদন্তে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার মামলাটি করেন পিটুনির শিকার বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জাকির।
তার আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় আতিকুর রহমান সগীর (পাইপ সগীর), লিপি আক্তার রিমা, জাকির ফকির ও মো. জাহিদকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ চক্রটি বাদীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেছে।
বাদী শাহ আলম বাবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকও।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এলাকার লোকজনকে সরকারি-বেসরকারি নানা সহায়তা পেতে সহযোগিতা করে আসছি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুঠোফোনে কল করে আসামি লিপি আক্তার রিমা নিজেকে অসহায় দাবি করে আমার কাছে সহায়তা চায়। আমি তাকে আশ্বাস দিই। এরপর মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হয়।
‘গত ৭ এপ্রিল বিকেলে রিমা আমাকে ফোন করে সাক্ষাতে কথা বলতে বরগুনা পৌরশহরের ধানসিঁড়ি সড়কের এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আসতে বলেন। ওই দিনই তারাবি নামাজ শেষ করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে গেলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে রিমা জুতাপেটা করে এসব মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। পরে ওই ব্যক্তিরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।’
আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম আরও বলেন, ‘চাঁদার টাকা না দিলে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে ছেলের মাধ্যমে তাদের ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়ে বাড়ি যাই। ঘটনার এক দিন পর রিমা কল করে বাকি টাকা চায়। ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।’
এদিকে শাহ আলমের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সে সঙ্গে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করে দেয়া হয় ঘটনার তদন্তে।