বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তদন্ত কমিটির সামনেই টেকনাফ ছাত্রলীগের মারামারি

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ২১:০৯

তদন্ত কমিটির প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমরা নিজেরাও বিব্রত। আমরা এমন ছাত্রলীগ কখনও চাই না। যদিও টেকনাফের নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত।’

টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এজন্য গত ১৩ এপ্রিল দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসান।

রোববার সকালে সরেজমিন তদন্তে আসেন মাহমুদুল হাসান ও এস এম রিয়াদ। বিকেলে তারা টেকনাফ ছাত্রলীগের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা জানান, নুরুল মোস্তফা গ্রুপের ফরহাদ মাহমুদ তদন্ত কমিটির সামনে বক্তব্য দিতে ওঠেন। এ সময় তিনি টেকনাফ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না কিভাবে তিনবারের সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতি হলেন, তা জানতে চান। এরপরই মুন্না ও মোস্তাফা গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে দুই পক্ষ। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হামলার কথা জানিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ মাহমুদ বলেন, ‘বিতর্কিত কোন নেতা আমরা চাই না। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর মতো পরিচ্ছন্ন নেতা। বিতর্কিতদের নিয়ে কথা বলায় মুন্না গ্রুপের লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। তদন্ত কমিটির সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কমিটির প্রধান মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমরা নিজেরাও বিব্রত। আমরা এমন ছাত্রলীগ কখনও চাই না। যদিও টেকনাফের নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সাত কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ এপ্রিল টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে সভাপতি করা হয় সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্নাকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় নুরুল মোস্তফাকে।

কমিটি ঘোষণার পর জানা যায়, সাধারণ সম্পাদক আগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া গত এক বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলে বর্তমান কমিটি তাতে ব্যর্থ হয়। এতে পদবঞ্চিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ বিভাগের আরো খবর