নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
গ্রেপ্তার আসামির নাম সানোয়ার হোসেন ওরফে আ. রউফ।
শনিবার নওগাঁর পত্নীতলা থানার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বাধীন জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও গোমস্তাপুরের জেএমবি প্রধান ছিলেন।
রোববার এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এটিইউ জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার ২০১২ সালের একটি মামলার আসামি সানোয়ার হোসেনের ওপর নজরদারি শুরু করা হয়। একপর্যায়ে এটিইউ জানতে পারে সানোয়ার হোসেন নওগাঁর পত্নীতলার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছেন।
সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছেন ও ভেড়া লালন-পালন করেন। এটিইউ সদস্যরা শনিবার সন্ধ্যায় সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন।
এটিইউ জানায়, সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভুক্ত হন। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হন। পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন এবং তাদের অন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানাধীন খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে রাখা হয়।
পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও দুই আসামি আ. শাকুর ওরফে শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্যে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
সানোয়ার ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরোনো জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও গোমস্তাপুর থানায় মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।