উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওরে প্রবেশ করছে পানি। এতে তলিয়ে যাচ্ছে ফসল।
রোববার সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
তাহিরপুরের গুরমার হাওরের স্থায়ী বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া হাওরে পানি বাড়ার কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জের বৃহত্তম দুটি হাওর শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওরের ধান।
গ্রামবাসী জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে উজানে পানি বাড়তে থাকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারসংলগ্ন বর্ধিত গুরমার ২৭ নম্বর প্রকল্পের মাটি দেবে যায় এবং স্থায়ী বাঁধ উপচে পানি ঢুকতে শুরু করে হাওরে।
এ কারণে গুরমা হাওর অংশের খাউজ্যাউরি, নোয়াল, আইন্যা, কলমা ও গলগলিয়া এবং ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা এলাকার হাওরগুলোর ফসলের মাঠেও প্রবেশ করেছে পানি।
গুরমার হাওরের কৃষক মতিন বলেন, ‘এটা নতুন কোনো বাঁধ নয়, এটা হাওরপাড়ে পুরোনো স্থায়ী বাঁধ। ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। আজ সকাল থেকে বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।’
সমাজকর্মী আহমদ কবীর বলেন, ‘গুরমার হাওরে আপর (স্থায়ী বাঁধ) উপচে পানি ঢুকছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সকাল থেকে বাঁশের চাটাই, বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১০ দিন ধরে ইউএনওসহ আমরা বাঁধে দিন-রাত পার করছি।’
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন, ‘আমি বর্তমানে শনির হাওরে অবস্থান করছি। পানির চাপে বাঁধগুলো দুর্বল হচ্ছে। এ হাওরের কুমাইরা খাল স্থায়ী বাঁধের (আপর) নিচে ফুলফা দিয়ে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া ভগিয়ানীর পশ্চিমের বাঁধের অবস্থাও ভালো না।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান কবীর বলেন, ‘পাটলাই নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ারসংলগ্ন বাঁধে মাটি ও বাঁশের চাটাই দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা চলছে।’