গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সোনালি ধানে ভরে গেছে উপজেলার দুই বিলের ১০০ বিঘা জমি।
রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের এ ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলার বাগান উত্তরপাড়া বিলে কৃষক মফিজ শেখের জমির ধান কাটার মাধ্যমে এ উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধান কাটা শুরু হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়সহ কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের ধান বঙ্গবন্ধু ১০০ আবিষ্কার করেছে। আজকে সেই জাতের ধান জাতির জনকের জন্মভূমি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শোভা পাচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আমাদের এ উপজেলায় বিনা মূল্যে ৩০০ কেজি ধান দিয়েছিল। সেই ধান আমরা তিন কেজি করে ১০০ কৃষককে দিয়েছিলাম।
‘এসব কৃষক ১০০ বিঘা জমিতে এই বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান রোপণ করেছিলেন। এ জাতের ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তাই কৃষকরা এ জাতের ধান রোপণ করে খুবই আনন্দিত।’
এ কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি (বঙ্গবন্ধু ১০০) উচ্চফলনশীল জাতের ধান।’ প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৮ টন ধান উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাগান উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক মফিজ শেখ বলেন, ‘গত বছর আমার এই জমিতে হাইব্রিড হিরা জাতের ধান রোপণ করেছিলাম। এ বছর আমি বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান রোপণ করেছি। গত বছরের চেয়ে এ বছর আমার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লি উন্নয়ন অ্যাকাডেমির (বাপার্ড) উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ তোজাম্মেল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি জিংক সমৃদ্ধ। এতে জিংকের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম। যা মানবদেহের জিংকের ঘাটতি পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে ‘
বাপার্ডের মহাপরিচালক সৈয়দ রবিউল আলম বলেন, ‘দেশের কৃষকরা যাতে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান রোপণে উদ্বুদ্ধ হন, সে জন্য বাপার্ড কাজ করে যাবে।’