বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, বয়স জটিলতাসহ বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৫ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষকদের যোগদান ও ইনডেক্সধারীদের এমপিও জটিলতা সমাধানে আর কোনো বাধা থাকছে না।
রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানান এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক ছিল। বৈঠকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের নীতিমালা অনুযায়ী যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া যেসব পদে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরও কেউ যোগ দেননি সেসব শূন্য পদে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমপিও নীতিমালা সমন্বয় করা হবে। এতে যে কোনো বিভাগে ইনডেক্সধারী হলে সে অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করতে হবে না।’
এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর। কিন্তু নিয়োগের সুপারিশ দিতে প্রায় ১ বছরের বেশি সময় নেয় এনটিআরসিএ। এতে অনেক প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করে। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে যখন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিওর জন্য আবেদন করেন। এমপিও আবেদনের সফটওয়্যার ৩৫ বছরের বেশি নিয়োগকৃত শিক্ষকদের আবেদন গ্রহণ করছিল না।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
যদিও গত বছরের ১৫ জুলাই ৩৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এনটিআরসিএ।
গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ ২০ হাজার ৯৯৬টি।
এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদ রিট মামলায় অংশ নেয়াদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও গত বছরের ১৫ জুলাই সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জন।
আর ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফল দেয়নি এনটিআরসি।