কুষ্টিয়া কুমারখালীতে গৃহবধূকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবকের নামে মামলা করা হয়েছে।
আদালতে করা মামলার আবেদনে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় প্রথমে থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে যান। পরে কুমারখালী আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারকের নির্দেশনায় গত ১০ এপ্রিল মামলা নিয়েছে কুমারখালী থানা।
তবে শনিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
রোববার সকালে নিউজবাংলাকে ঘটনা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান তদন্ত করছেন।’
আসামিরা হলেন উত্তর পাড়সাওতা এলাকার রাসেল আহমেদ, হেলাল শেখ ও আলিমান শেখ।
এজাহারে বলা হয়, উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর পার সাওতা এলাকার ওই গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল আসামিরা। বিষয়টি তিনি স্বামীকে জানালে তিনি আসামিদের অভিভাবকদের জানান, তবে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ মার্চ বিকেলে মেয়েকে নিয়ে সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে অপহরণ করে।
পরে ওই গৃহবধূকে যদুবয়রা ইউনিয়নের বড়ুরিয়া চর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে আসামিরা ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে তিনি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে এলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই নারী বলেন, ‘এজাহার জমা দিলেও প্রথমে কুমারখালী থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে তারা মামলা নেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’