চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুর্যোগ সহনীয় ঘরের টিনের চাল, ভেঙে গেছে পিলার। আরেকটি ঘরের পিলারগুলোতে ফাটল ধরেছে।
সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে ছাদহীন ঘরেই বসবাস করছে একটি পরিবার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্যোগ সহনীয় বলা হলেও নিম্নমানে ইট, বালু ও কাঠ ব্যবহারের কারণে ঘরগুলো টেকসই হয়নি।
উপজেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আকন্দবাড়িয়া গ্রামে দুটি ভূমিহীন পরিবারকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর দেয়া হয়। মুসলিম খাতুন ও কোহিনুর বেগম ২ শতক জায়গায় নির্মিত দুই কামরার সেমিপাকা ঘরগুলো পান। প্রতিটি ঘর নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
মুসলিমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত পৌষ মাসের আগের পৌষে আমাকে ঘর দেয়া হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা এই ঘরে থাকছি। গত বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়ে অন্যের বাড়িতে পড়েছে। সামনের তিনটি পিলারই ভেঙে গেছে।
‘ঝড়ের সময় আমরা ঘরে ছিলাম। কোনো রকমে প্রাণে বেঁচেছি সবাই।’
কোহিনুর জানান, তার ঘরের পিলারে ফাটল ধরেছে। ঝড় হলে এগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন। আতঙ্ক নিয়ে তারা দিন পার করছেন।
সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, ভেঙে পড়া ঘরের তথ্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত মেরামতের তাগাদা দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া বলেন, ‘আমি এখানে যোগ দেয়ার আগে ঘরগুলো বানানো হয়েছে। তাই নিম্নমানের সামগ্রীর বিষয়ে বলতে পারব না। তবে তখন বাজেট কম ছিল। এখন বেড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। নিউজবাংলার প্রতিনিধির কাছে প্রথম শুনলেন।