খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শনিবার বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।
নবজাতকের বাবা সাগর গাজী বলেন, ‘গত ১১ এপ্রিল আমার স্ত্রীর প্রসববেদনা শুরু হয়। পরদিন তাকে খুমেক হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সিজার হয়। পরে জানানো হয় আমার একটি মেয়েসন্তান হয়েছে।
‘আমি সন্তান দেখতে চাইলে চিকিৎসকরা খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। তারা বলেন, সময় হলে সন্তান পাবেন। সে পর্যবেক্ষণে আছে। তবে শনিবার সকালে কিডনির সমস্যায় আমার সন্তান মারা গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা।’
তিনি বলেন, ‘দুপুরের দিকে মরদেহ আমাদের দেয়া হয়। তখন দেখি বাচ্চার পেট কেটে ফেলেছে। তারা আমার সন্তানকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলল। তারা আমাকে আগে বললে প্রয়োজনে আমি সন্তানকে ঢাকায় নিয়ে যেতাম। আমার সন্তানকে ইচ্ছা করে আটকে রেখে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে হাসপাতালের পরিচালক রবিউল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই নারীর বাচ্চা উল্টো অবস্থায় ছিল। তখন পেটের ডান পাশে সামান্য কেটে যায়।
‘এ ছাড়া বাচ্চাটি ডাউন অবস্থা ছিল। তার হার্ট ডিজিজ ছিল। একই সঙ্গে শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্ম নেয়। সে জন্য এই কয়েক দিন চিকিৎসাধীন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর স্বজনরা আন্দোলন শুরু করেছিল। পরে তাদের অনুরোধ করেছি একটি অভিযোগ দেয়ার জন্য। তারা একটি অভিযোগ দিয়েছে। কাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এ ঘটনায় কোনো চিকিৎসক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মৃত নবজাতক নিয়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান তার বাবা সাগর গাজী। তাদের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চকরাখালী।