আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে শনিবার বিকেলে হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান প্রতিবাদ জানান। এতে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানানো হয়।
আল-আকসা মসজিদ চত্বরে শুক্রবার সকালে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষে আহতরা শরীরের ওপরের অংশে আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
হেফাজতের বিবৃতিতে বলা হয়, মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রস্থান আল-আকসায় ইসরাইলি পুলিশের হামলা মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন। পবিত্র কুদস দিবসে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি হানাদার বাহিনীর বর্বর হামলা সারা বিশ্বের মুসলমানদের তীব্রভাবে আঘাত করেছে।
ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সেগুলো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে এএফপি জানায়, সকালে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের দিকে এলোপাতাড়ি রাবার বুলেট ছোড়ে তারা।
ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই আল-আকসা। ইসরায়েল-অধিভুক্ত পূর্ব জেরুজালেমের মধ্যে পড়ে ধর্মীয় এই স্থাপনাটি।
গত বছর ৮ জুন ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আল-আকসা মসজিদ এলাকা।