বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোদাগাড়ীর দুই কৃষকের মৃত্যু বিষ খেয়েই

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:২২

ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর সেগুলো ভিসেরা রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ল্যাবে। ওই ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করি। ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত দুজনের শরীরে বিষ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় আমরা অর্গানো ফসফরাস যৌগ নামে এক ধরনের বিষ পাই। এই বিষপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি।’

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর দুই সাঁওতাল কৃষকের মৃত্যু বিষপানে হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গোদাগাড়ীর দুজন সাঁওতাল কৃষক অসুস্থ হন ২৩ মার্চ সন্ধ্যায়। তারা নিজেরাই পরিবারের সদস্যদের জানান, বিষ খেয়েছেন। এর মধ্যে অভিনাথ মারান্ডি নামে একজন ওই রাতেই বাড়িতে মারা যান। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মার্চ মারা যান তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি। দুই কৃষকেরই বাড়ি গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামে। অভিনাথ ও রবির পরিবারের দাবি, অনেক ঘুরেও গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি পাচ্ছিলেন না তারা। তাই ক্ষোভে ওই নলকূপের সামনেই দুজনে বিষপান করেন। স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম এবং রবির ভাই সুশীল মারান্ডি বাদী হয়ে গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন। গোদাগাড়ী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার এই মামলার গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত সাখাওয়াত। এরই মধ্যে তাকে নলকূপ অপারেটরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি এই ঘটনা তদন্ত করে এরই মধ্যে প্রতিবেদনও জমা করেছে।তবে মামলার তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছিল।

ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। এরপর সেগুলো ভিসেরা রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ল্যাবে। ওই ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করি।

‘ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত দুজনের শরীরে বিষ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় আমরা অর্গানো ফসফরাস যৌগ নামে এক ধরনের বিষ পাই। এই বিষপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি।’মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রতিবেদন আনতে তিনি লোক পাঠিয়েছিলেন। এটি হাতে পেলে মামলার বিচার কার্যক্রম গতি পাবে।

এ বিভাগের আরো খবর