বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নববর্ষে মেয়র আতিকের উপহার পার্ক ও মাঠ

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:১৮

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাঠে রয়েছে শিশুদের ও বড়দের আলাদা খেলার জায়গা, নারীদের বসার ব্যবস্থা, বসে খেলা উপভোগ করার জন্য রয়েছে গ্যালারি। আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদার ভিত্তিতেই এই পার্ক ও মাঠের নকশা প্রণয়ন করেছি।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উন্মুক্ত স্থানে ‘আধুনিকায়ন উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ প্রকল্পের আওতায় সাতটি পার্ক ও মাঠের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এগুলোকে নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের শ্যামলী পার্কে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘এগুলো আপনাদেরই পার্ক। আপনাদেরই এই পার্ক ও মাঠগুলোকে দেখে রাখতে হবে। মাঠগুলোকে আপনারা সন্তানের মতো ভালোবাসবেন এটা আমার অনুরোধ।’

শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষসহ সবার সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এই পার্ক ও মাঠগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মাঠে রয়েছে শিশুদের ও বড়দের আলাদা খেলার জায়গা, নারীদের বসার ব্যবস্থা, বসে খেলা উপভোগ করার জন্য রয়েছে গ্যালারি। আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদার ভিত্তিতেই এই পার্ক ও মাঠের নকশা প্রণয়ন করেছি।

‘এই মাঠে কখনও যেন পানি না জমে এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে ক্রিকেট ও ফুটবল দুটি খেলাই খেলা যাবে। বহুমুখী উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মাঠের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।’

এ সময় মেয়র ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা জনগণের খাল ও নদীতে বালু ভরাট করে বেদখল করবেন না। আপনারা নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন, সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, খাল এগুলো উদ্ধার করতেই হবে জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘তাদের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব। এগুলো না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে, আপনারা আমাদের কী দিয়েছেন। মহানগর জরিপ অনুযায়ী ৬০ ফিট খালকে ৬ ফিট বানিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখল করা যাবে না। সিএস এবং আরএস অনুযায়ী যেটি বেশি সেই অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।’

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আজ নববর্ষের উপহার হিসেবে যে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো এগুলো আপনাদেরই দেখে রাখতে হবে, এগুলো আপনাদেরই সম্পদ। এখানে সবুজায়ন করে দেয়া হয়েছে, মাঠ করে দেয়া হয়েছে এবং খেলার সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।’

এ সময় তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে এই পার্ক ও মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি করার নির্দেশ দেন।

সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠ হলো

শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক, রায়েরবাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৩ আসনের এমপি সাদেক খান। ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য এই পার্ক ও মাঠগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক সুবিধাসংবলিত পার্ক ও মাঠগুলো পেয়ে আমরা সত্যি আনন্দিত। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা সব সময় ডিএনসিসির পাশে আছি।’

৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্থপতি ইকবাল হাবিব।

এ বিভাগের আরো খবর