বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে পাচারের জন্য চুরি করা হয় শিশুটিকে

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪৭

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, ‘বুধবার শিশুটিকে চুরি করে কুলসুম স্বামী সোহেল ও শাশুড়ি খোরশেদাসহ শ্রীমঙ্গলের আমিন কলোনি এলাকায় যায়। এরপর সেখান থেকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার খবরা গ্রামে আত্মগোপনে চলে যায় তারা। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ভারতে পাচার করে দেয়ার জন্যই শিশুটিকে চুরি করে তারা।’

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু আরজুকে তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার খবরা গ্রাম থেকে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ১৮ মাস বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুলসুম ওরফে সুমি, তার স্বামী মো. সোহেল এবং কুলসুমের শাশুড়ি খোরশেদা বেগম।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, ভারতে পাচারের জন্যই শিশুটিকে চুরি করেন আসামিরা।

ওসি কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বায়েজিদ থানা এলাকার রৌফাবাদের রাজা মিয়ার কলোনি থেকে বুধবার শিশুটি চুরি হয়। ওই দিন আরজুর মা গার্মেন্টসকর্মী মুক্তা বেগম মেয়ে নাজমা আক্তারের কাছে শিশুটিকে রেখে যান। মুক্তার স্বামী একজন মাংস বিক্রেতা, ওই দিন সকালে তিনিও মাংস বিক্রির জন্য বেরিয়ে যান।

‘সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১০টার মধ্যে কুলসুমা নামের এক নারী কৌশলে আরজুকে কোলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গার্মেন্টস থেকে ফিরে খোঁজাখুঁজির পরও সন্তানকে না পেয়ে পুলিশকে জানান মুক্তা। পরদিন মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন তিনি।’

ওসি আরও বলেন, ‘আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামির পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়। কুলসুম চট্টগ্রামের ওই এলাকায় থাকলেও তার পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা জানত না কেউ। পরে পুলিশ জানতে পারে, আসামি কুলসুমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হলেও তার স্বামী সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।

‘বুধবার শিশুটিকে চুরি করে কুলসুম স্বামী সোহেল ও শাশুড়ি খোরশেদাসহ পার্শ্ববর্তী আমিন কলোনি এলাকায় যান। এরপর সেখান থেকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার খবরা গ্রামে আত্মগোপনে চলে যান তারা।’

ওসি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ভারতে পাচার করে দেয়ার জন্যই শিশুটিকে চুরি করে তারা।’ যোগ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর