বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এত গরম আট বছরেও দেখেনি রাজশাহী

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:২৬

রাজশাহী আবহাওয়া দপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টার দিকেও একই তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী অঞ্চল। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে অঞ্চলটিতে। বিগত আট বছরে এমন গরম দেখেনি বিশ্বের অন্যতম এই গ্রিন সিটি। প্রখর তাপে প্রাণীকূলের প্রাণ ওষ্ঠাগত।

শুক্রবার গরম ও তাপমাত্রা রেকর্ড বেড়েছে আগের আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রাজশাহীল আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস শুক্রবার দুপুর নাগাদ সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি সপ্তাহজুড়েই এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আর এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনাই নেই।

বেশ কিছুদিন ধরেই রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ গরমে কাহিল হয়ে পড়েছিল। দিনরাত ভ্যাপসা গরম। এপ্রিলের শুরু থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছিল।

শুক্রবার সকাল থেকেই গরমের মাত্রা বেড়ে যায়। এ দিন সকাল ৬টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর থেকে তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকে। দুপুর ২টায় সেই পারদ উঠে যায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। বিকেল ৩টাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

ওষ্ঠাগত গরমে মাঠে সেচের কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজশাহীতে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর আর কখনোই তাপমাত্রা এত উপরে উঠেনি।

রাজশাহী আবহাওয়া দপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টার দিকেও একই তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

তিনি বলেন, আগামাী সাত দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এরপরই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

এদিকে খরতাপে অসহনীয় হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। বাতাসে যেন অনুভূত হচ্ছে আগুনের হলকা; ওষ্ঠাগত গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দুপুরে রাস্তায় লোকজনের চলাচল কমে যায় খরতাপের কারণে।

এ বিভাগের আরো খবর