‘মেয়েকে উত্ত্যক্তের বিচার গ্রামের মাতবরদের কাছে চেয়েও পাওয়া যায়নি। আমার মেয়ের মতো যেন আর কারও মেয়েকে এভাবে জীবন দিতে না হয়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
কথাগুলো বলছিলেন বগুড়ার ধুনটের এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ, ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়ে তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকার ছয়জনের নামে মামলা করেছেন ওই ব্যক্তি।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজ্জাকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ধুনটের চৌকিবাড়ী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে গত ১২ এপ্রিল মেয়েটি বিষপান করে। তাকে স্বজনরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মেয়েটি মারা যায়।
মামলার বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মেয়েটিকে দুই বছর ধরে উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় বাবুল মিয়া। একপর্যায়ে মেয়েটির বাবা বাবুলের নামে গ্রামের মাতুবরদের কাছে নালিশ দেন। তবে তাতে কোনো সুরাহা হয়নি, উল্টো ক্ষুব্ধ হন বাবুল।
রাজ্জাকুল আরও জানান, মামলায় বলা হয়েছে যে গত ১২ এপ্রিল সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাবুল ও তার সহযোগী মো. রফিকুল কলেজছাত্রীর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে বাবুল ও রফিকুল পালিয়ে যান।
মামলার বাদী ওই কলেজছাত্রীর বাবা জানান, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। শুক্রবার সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ঘটনাটি তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর বলে জানান পরিদর্শক রাজ্জাকুল।