ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শনিবার। আর সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে ১২ মে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা জানান, শহরের হাজরাতলা রাইফেলস ইন হোটেলের হলরুমে বেলা ২টায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
বর্ধিত সভাপরবর্তী সম্মেলন ঘিরে পদপ্রত্যাশী নেতাদের পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে শহর। বিভিন্ন নেতাকর্মীর শুভেচ্ছাসংবলিত তোরণের শহরে পরিণত হয়েছে। শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৩০টি তোরণ। ব্যাপক আয়োজনে জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ, ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার রাজনৈতিক মাঠ। নতুন কমিটির নেতৃত্বে কারা আসছেন, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। পদ পেতে গ্রুপিং, লবিং ও দৌড়ঝাঁপ চলছে এক বছর ধরে।
সভাপতি পদের দৌড়ে আছে একাধিক নাম। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম হক, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক আইভি মাসুদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত হোসেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক কুমার মজুমদার। এ ছাড়া রয়েছেন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস এবং ফরিদপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথ।
সম্মেলন ঘিরে পদপ্রত্যাশী নেতাদের পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে শহর। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বধিত সভা সফল করব। দীর্ঘদিন পর ফরিদপুরে কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। এতে নেতাকর্মীরা আনন্দিত। খুব ভালো প্রস্তুতি আমাদের। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়েই বর্ধিত সভাটা সফল করব।’
নতুন কমিটির মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের রাজনীতি সুসংগঠিত হবে এমন প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ফরিদপুরের রাজনীতিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরে যে শুদ্ধি অভিযান করেছেন তাতে ভবিষ্যতে গতিশীল নেতৃত্ব আসবে বলে আমি মনে করি।
‘প্রধানমন্ত্রীর ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস থেকেই বলছি, আগামীতে যে নেতৃত্ব আসবে তাতে ফরিদপুরের রাজনীতি সুসংগঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘এরই মধ্যে বর্ধিত সভার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের দাওয়াত ও তাদের আপ্যায়নের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবেই আমাদের সভা শেষ হওয়ার পর সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করা হবে।’