বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ১০ সদস্যের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। শামস সন্ধ্যা ট্রাস্টের সহযোগিতায় শুক্রবার এই শিক্ষাবৃত্তি তুলে দেয়া হয়।
ক্র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ক্র্যাবের সকল কর্মকাণ্ডে আগে পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ক্র্যাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে আসছি। আমি অনেক সময় কনফিউজড হয়ে যাই, এই ভেবে যে, আমি সাংবাদিক না পুলিশ। আজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে ছোট পরিসরে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ক্র্যাব এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান কামাল, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ।
শিক্ষাবৃত্তি যারা পেয়েছেন
ক্র্যাবের প্রয়াত সদস্য আসলাম রহমানের মেয়ে সিমি রহমান, সোহানুর রহমানের ছেলে তাহসিন, আজাদ হোসেন সুমনের মেয়ে কামরুননেসা মাহি, ক্র্যাবের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হরলাল রায় সাগরের মেয়ে অর্পিতা রায় মায়াবী, সাবেক অর্থ সম্পাদক এস এম দোলোয়ার হোসেনের ছেলে এস এম রেদোয়ান হোসেন, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের ছেলে আহমেদ আবীর, ইকবাল হাসান ফরিদের ছেলে অনন্য আরাফ, ক্র্যাব সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে নাফিসা চৌধুরী, বেলাল উদ্দিন সেতুর ছেলে সেফাত সানায়াত ও ফজলুল হক শাওনের ছেলে সপ্নীল।