বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হালখাতায় নেই আগের আমেজ

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৩০

প্রতি বছরের মতো এবারও পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা হালখাতা উৎসবের আয়োজন করেছেন। তবে গত দুই বছরের মতো এবার হালখাতা উৎসবে নেই পুরনো দিনের সেই জমজমাট আমেজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার শুধু নিয়ম রক্ষার জন্য হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনার প্রভাবে পড়েছে এখানেও।

বাংলা নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ হালখাতা উৎসব। এ দিন পুরনো হিসাবের খাতা বন্ধ ও নতুন হিসাবের খাতা খোলার চলে আনন্দ-আয়োজন। সঙ্গে থাকে আপ্যায়ন ও আনুষ্ঠানিকতা।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫৮৪ সালে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তনের পর মূলত হালখাতার প্রচলন হয়।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের নানা আয়োজন থাকে হালখাতা ঘিরে। পঞ্জিকা অনুযায়ী পয়লা বৈশাখের দিন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা জাঁকজমকভাবে হালখাতা উৎসবের আয়োজন করেন। সে হিসাবে এ বছর শুক্রবার পুরান ঢাকায় চলছে হালখাতা উৎসব।

প্রতি বছরের মতো এবারও পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা হালখাতা উৎসবের আয়োজন করেছেন। তবে গত দুই বছরের মতো এবার হালখাতা উৎসবে নেই পুরনো দিনের সেই জমজমাট আমেজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার শুধু নিয়ম রক্ষার জন্য হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনার প্রভাবে পড়েছে এখানেও।

সাধারণত হালখাতা উৎসব উপলক্ষে পুরান ঢাকার দোকানগুলো ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া দোকানে ক্রেতা আসলে তাকে মিষ্টিমুখও করানো হয়।

প্রতিবারের মতো পুরান ঢাকার বেশিরভাগ দোকান হালখাতা উপলক্ষে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। তবে সেখানে ছিল না উৎসবের আমেজ। ক্রেতা সমাগত কমই এর মূল কারণ।

নতুন বছরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূজা করছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা ও দেনাদারদের সমাগম কম হওয়ার আশঙ্কা তারা আগেই করেছিলেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে যেহেতু বিক্রি একদমই কম ছিল তাই হালখাতা উৎসবে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, শ্যামবাজার ও বাবুবাজারের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

তাঁতীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী জগমোহন দাস বলেন, ‘পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের দিন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা হালখাতা উৎসবের আয়োজন করেন। এবারও অল্প পরিসরে করেছি বলা যায় নিয়ম রক্ষার জন্য। সকাল থেকেই দোকান খোলা হলেও ক্রেতা ও দেনাদারদের সমাগম নেই বললেই চলে। এমনটা যে হবে তা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম।’

একই কথা বললেন শাঁখারীবাজারের ব্যবসায়ী শঙ্কর ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘আগের মতো আর হালখাতা উৎসব হয় না। করোনার কারণে গত দুই বছরে বিক্রি একদমই কম ছিল। আগে আমরা ব্যাপক পরিসরে হালখাতা উৎসব করতাম। এবার শুধু প্রথা ধরে রাখার জন্য ফুল দিয়ে দোকান সাজিয়েছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো ক্রেতা বা দেনাদারের দেখা পাইনি।’

শ্যামবাজারের আড়তদার বকুল মিয়া বলেন, ‘আগের মতো হালখাতা উৎসবের আমেজ পাই না। করোনার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই অবস্থা খারাপ। এজন্য এখন আর হালখাতা উৎসব জমে না।’

এ বিভাগের আরো খবর