কক্সবাজারে ইফতার কিনতে গিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে যুবক মোর্শেদ আলীকে হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদ, মোহাম্মদুল হক ওরফে মাহমুদুল হক, আবদুল্লাহ, আব্দুল আজিজ ও নুরুল হক।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
তিনি জানান, সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধের জেরে ৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর থানার চেরাংঘর স্টেশনে সামনে মোর্শেদ আলীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাহেদ আলী কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, পিএমখালী ইউনিয়নে একটি সেচ প্রকল্প নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
আসামিরা প্রকল্পটি দখল করে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায় ও নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল। প্রকল্পটি আগে মোর্শেদের পরিবার পরিচালনা করত। কৃষকদের ওপর অত্যাচারের কারণে প্রকল্পটি মোর্শেদের পরিবার পুনরায় নিতে চাইলে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
আসামিদের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আগেও আসামিরা মোর্শেদের ওপর একাধিকবার হামলা করে। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে তা সফল হয়নি। সর্বশেষ দিন ও সময় ঠিক করে মোর্শেদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাহমুদুল।
হত্যার সময় মোর্শেদ ইফতার পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করে আসামিদের বলেন, ‘এখন বেশি ক্লান্ত লাগছে, একটু পর ইফতার করব। ইফতার শেষ করলেই আমায় মেরো।’ তবে আসামিরা তার আকুতি না শুনে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করায় র্যাব-৭ ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। একপর্যায়ে আমরা জানতে পারি, আসামিরা টেকনাফে অবস্থান করছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তারদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।