জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন ও বেড়িবাঁধ প্রশস্ত করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি এ আশ্বাস দেন।
প্রশান্ত মহসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউয়ের কররে ‘৭ম আওয়ার ওশান কনফারেন্স’-এর দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে এই বৈঠক হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন জন কেরি।
আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত সম্প্রসারণের সম্ভাবনার দিকটিও।
সমুদ্র-সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যথেষ্ট সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন মোমেন। এ খাতে দক্ষতা বাড়ানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতাসহ বেড়িবাঁধের উচ্চতা বাড়ানো ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আশ্বাস দেন জন কেরি।
এ সময় ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্স’-এর আলোচ্য বিষয়ের অংশ হিসেবে সমুদ্র-দূষণরোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ানো বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
কঠিন বর্জ্য থেকে নির্গমন কমাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে ‘বৈশ্বিক মিথেন অঙ্গীকার’-এ যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান জন কেরি।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট প্রধান মো. খুরশিদ আলম এবং পালাউয়ে সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সম্মেলনের সাইডলাইনে পালাউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুস্তাভ আইতারোর সঙ্গেও বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
বৈঠকে দুই দেশের পর্যটন, ওষুধ, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনা এবং দুই দেশের মধ্যে সদ্য প্রতিষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।