ফেনীতে কিশোরকে ভয় দেখিয়ে তিন মাস ধরে বলাৎকারের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানায় কর্মস্থল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে বুধবার নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের মা কনস্টেবল ইউনুস আলীর নামে থানায় মামলা করেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ওই কিশোরের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।’
এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর তল্লাশির নামে মহিপাল থেকে তাকে আটক করেন ইউনুস আলী। এরপর তাকে পাশের একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথম দফায় বলাৎকার করেন। সে চিত্র মোবাইলে ধারণ করা করেন ইউনুস।
এ ভিডিও দেখিয়ে নিয়মিত তাকে বলাৎকার করতে থাকেন। এরই মধ্যে ওই কিশোরকে নিয়ে ইউনুস তার গ্রামের বাড়ি যান। সেখানে তার অন্য সহযোগীরাও কিশোরকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। পরে ইউনুসের মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে আসে কিশোর। বাড়ি ফিরে মোবাইলের সব ভিডিও ডিলিট করে সেটি বিক্রি করে দেয়।
এরই মধ্যে কনস্টেবল ইউনুস তার মোবাইলের আইএমইআই নম্বর ধরে ক্রেতার কাছে পৌঁছান ও খোঁজ নেন। পরে মহিপালের ওই মোবাইল ক্রেতা ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে পুরো ঘটনা জানাজানি হয়। কিশোর বাধ্য হয়ে তার পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলে। এরপরই ওই কিশোরের মা বুধবার কনস্টেবল ইউনুসের নামে মামলা করেন।
ওই কিশোর আরও জানায়, থানায় রাখা পরিত্যক্ত একটি গাড়ির ভেতর নির্যাতনের আঁতুড়ঘর বানিয়েছেন ইউনুস আলী। সেখানে গভীর রাতে চালানো হতো নির্যাতন।
কিশোরের মায়ের দাবি, ইউনুস আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। একই সঙ্গে তার সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।
ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘মামলার এক দিন পরই ওই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরকে পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। আদালতে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি নেয়া হবে।’