করোনাভাইরাস মহামারি পেরিয়ে দুই বছর পরে সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পয়লা বৈশাখ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরে শত শত মানুষের আনাগোনা।
বৃ্হস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে আসতে শুরু করে উৎসবপ্রেমী মানুষ। দুপুরের পর বাড়তে থাকে সেই আনাগোনা।
ধানমন্ডি লেকের ৮ নম্বর ব্রিজ থেকে ২৭ নম্বরের সাম্পান প্রান্ত, সেখান থেকে শুরু করে রবীন্দ্রসরোবরের মুক্তমঞ্চ পর্যন্ত মানুষের পদচারণে মুখরিত।
এ সময় বৈশাখী সাজে দেখা যায় নানান বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুদের। ছেলেরা পাঞ্জাবি-ফতুয়া আর মেয়েরা বেশির ভাগই শাড়ি পরে পয়লা বৈশাখ উদযাপনকে বর্ণিল করে তুলেছে।
বৃ্হস্পতিবার সকাল থেকেই ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরে আসতে শুরু করে উৎসবপ্রেমী মানুষ। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
তবে প্রতি বছর সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসরোবরের মুক্তমঞ্চে পয়লা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলেও এ বছর তা হচ্ছে না। এ নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সেখানে বসে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতেছেন ধানমন্ডি এলাকারই বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী জাহিদুল ইসলাম রুপম।
তিনি বলেন, ‘রোজার কারণে হয়তো কালচারাল প্রোগ্রাম হচ্ছে না, কিন্তু এবার তো তাও বৈশাখে বের হওয়া গেছে, গত দুই বছর তাও তো সম্ভব হয়নি। সেদিক থেকে বলব এবার যা হচ্ছে এটাও ভালো।’
মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বন্ধু ও সন্তানদের নিয়ে রবীন্দ্রসরোবরে ঘুরতে এসেছেন সুমন সেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈশাখের বড় একটি অংশজুড়ে তো নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পৃক্ততা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে কমে আসছে সেসব। শেষ ২০১৯ সালেও এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি, তবে অবশ্যই হওয়া উচিত।’
এবার বেলা ২টার মধ্যে বৈশাখের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার নির্দেশ রয়েছে ডিএমপি থেকে। তবে রবীন্দ্রসরোবরের ভিড় সরিয়ে দেয়ার নির্দেশনা নেই বলে জানালেন সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা এ এস আই সাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, এখানে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেই, ভিড় সরিয়ে দেয়ারও কোনো নির্দেশ নেই আমাদের ওপর। আমরা এখানে রাত পর্যন্তই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকব।’