বাংলা নতুন বছর ১৪২৯ বরণ করতে নানা আয়োজনে মেতেছে বাঙালি। ব্যক্তিগতভাবে তো বটেই, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও চলছে বর্ষবরণ।
সবখানেই পুরোনো ক্লান্তি, জরা ফেলে দিয়ে নতুনের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রত্যাশা সবার। শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সর্বসাধারণের।
বর্ষবরণের আয়োজন ছিল শিল্পকলা ও বাংলা একাডেমিতে।
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় শিল্পকলার আয়োজন।
শিল্পকলার বাউল দল পরিবেশন করেন বাউল গান। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠান চলে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শিশুদের গান, নৃত্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। শিল্পকলার বাউল দল পরিবেশন করেন বাউল গান। সহজ মানুষ শিরোনামের সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলার নৃত্যদল।
বর্ষবরণ সংগীত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানে শুরু হয় বাংলা একাডেমির বৈশাখের আয়োজন। সেখানে গানের পাশাপাশি ছিল কবিতা।
আয়োজনে বৈশাখ, বাংলার মাস ও ঋতু নিয়ে কথা বলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা, একাডেমির উপপরিচালক ও লোক গবেষক সাইমন জাকারিয়া।
সহজ মানুষ শিরোনামের সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলার নৃত্যদল। ছবি: নিউজবাংলা
নূরুল হুদা বলেন, ‘মনে হতে পারে বাংলা কালের বয়স ১৪২৯ বছর, কিন্তু না। এত অল্প সময় না বাংলার কাল।
‘ফসলি সন থেকে নববর্ষ শুরু করেন সম্রাট আকবর। মহলের বাইরে এসে তিনি প্রজাদের আনন্দ করার সুযোগ করে দেন। সেখানে তিনি ভোজের আহ্বান জানান, সঙ্গে জুরে দেন কর দেয়ার প্রথা।
‘এর আগেও নববর্ষের চিহ্ন পাওয়া যায়। সেটা হলো মেলা। মেলায় আনন্দ করা হতো, পণ্য বেচাকেনা হতো। সেটা কবে থেকে জানা যায় না।’
নববর্ষ ও বাংলাকে বিশ্ব পরিসরে পৌঁছে দিতে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করার আহ্বান জানান একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির আয়োজন শুরু হয় সকাল পৌনে ৮টায়। শেষ হয় ১০টার দিকে।