সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের এক ছাত্রী সেখানকার চিকিৎসা কর্মকর্তা কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগ লিখিত আকারে ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন ওই তরুণী। এরপর মেয়েটিকে ট্রেনিং স্কুল থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান তার বাবা।
লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানান, কাজী রফিকুল বিভিন্ন সময় নানা বাহানায় ক্লাসে ছাত্রীদের অনুমতি ছাড়া স্পর্শ করেন। ফেসবুকে অনেককে অশ্লীল বার্তা পাঠান ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন। এসব বিষয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে একাধিকবার অবগত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ওই ছাত্রীর বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ জমা দেয়ার পর আমাদের মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্টকে ট্রেনিং স্কুলে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু আমাদের কোনো কথা শোনে নাই। উল্টো শিক্ষার্থীদের বিচার না দিয়ে চলে যেতে বলে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও হোস্টেলের সুপারভাইজার রফিকুল বলেন, ‘আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য তারা বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’
ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ আকিকুন নাহার নিউজবাংলাকে জানান, অভিযোগ তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন রামপদ রায় জানান, তিনিও লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন; তদন্ত করে দেখবেন।